Posts

Showing posts from 2018

প্রিয় কষ্ট

Image
কষ্টদেরও থাকে লুকোনো ব্যাথা না বলা কথা হৃদয়ের অকুতিরা যেখানে স্লান অভিমানের জন্মস্থান । আচ্ছা, মন কষ্ট কেনো পায়? কেনই বা জমায়? শৈশবে ঘুড়ি ভোকাট্টার কথা কৈশোরে বন্ধু খোয়ানোর ব্যাথা যৌবনের প্রথম হারানো প্রেম সবই যে মানসপটের কারুহেম। সময় তো নিয়মে গেছে বয়ে স্মৃতিরা কেনো রয়ে? প্রিয় কষ্ট নাম দিয়েছি তায় কখনো না বদলায়। ছবি- ইউক্রেনের শিল্পী পাভেল গুজেঙ্কো

স্মৃতির পালক

Image
কি হবে ? শুকনো ফুলে মালা গেঁথে ! কি আর হবে ? পুরোনো দিনের কথা ভেবে ? কেটে যায় সময় মেনে নেয়া না নেয়ায় ছোট এক জীবন কিছু নিয়তি আর প্রহসন! তবু প্রেম আসে শূন্য হৃদয়ে বাসা বাঁধে ! চকিত পলকে নিয়ম মেনে যাচ্ছে হারায়ে। পালক পড়ে থাকে স্মৃতির পাখি দূর আকাশে উড়ে ।

poem of my poetry

Image
I was born To write a poem Try to learn But Life is not a fun. Try to earn And That is a hard run. Then I burn As like summer sun. Now I know One day I have to go In my hand Poetry will never end.

২০১৮ ফুটবল বিশ্বকাপ, রাশিয়াঃ সেরা পাঁচ দল

Image
ইতালী-নেদারল্যান্ড-চিলির মত জায়ান্টদের বাদ করে প্রথমবার খেলতে এসেছে ওয়েলস-আইসল্যান্ডের মত দল। তাই বলে তো বিশ্বকাপের উত্তাপ কমে নাই। আছে মিসরের কিং খ্যাত সালাহ, পর্তুগিজ সেনা খ্যাত রোনালদো, কাভানি-সুয়ারেজের উরুগুয়ে ছাড়াও সকল বিশ্বকাপে অংশ নেয়া ব্রাজিল, গতবারের রানার্সআপ আর্জেন্টিনা, চ্যাম্পিয়ন জার্মানি, ফুটবল আবিষ্কারের দাবিদার ইংল্যান্ড আর সাজানো বেলজিয়াম সহ ভারসাম্যপূর্ন মোট ৩২টি দল। কিন্তু কাপের দাবিদার কজন? সবাই যার যার সমর্থনের দলকেই সেরা মানতে ভালোবাসে । ধারে ভারে অভিজ্ঞতা আর সমর্থকদের বিচারে সেরা পা চ দলের বিস্তারিত জানাচ্ছি আমি নোমান প্রধান !                                                                    ফ্রান্স তারুন্যের প্রাচুর্যে ভরা এবারের ফ্রান্স ফুটবল দল। পেলে-ম্যারাডোনার মতন মহারথীরাও এই ফ্রান্স দলকে মানছেন অন্যতম ফেবারিট দল হিসেবে। তা মনে প্রশ্ন জাগতেই পারে কি আছে এই দলে? কি এমন তা...

এত দুঃখ কোথায় রাখে?

Image
লক্ষ আলোকবর্ষ দূরে সটকে পরা তারার মতন নি:স্বঙ্গ পরিব্রাজকেরা কোথায় পায় বলো যতন ? যার নেই কোন পরিবার কিংবা বাঁধা সংসার যে পায়নি অন্তরঙ্গ মিষ্টি আদর তার প্রেমিকার ; অথবা যার সবই ছিলো হারায়ে ফেলেছে আজ সময়ে ভাঙ্গনে হলো কতটা ভারী তার দীর্ঘশ্বাস! কারে কয় আপন মানুষ অসময়ে যে গেছে ভুলে দাড় বেয়ে জীবনের তরী নিয়ে যাবে কোন কূলে? সাঁঝের বেলা পাখিরাও তো ঘুরে-ফিরে যায় নীড়ে কত অভাগারা হারায়েছে ঘর ব্যস্ত পৃথিবীর ভীরে। মধ্যবিত্ত সুখে থেকে চমকে উঠে মন তাদের ভেবে শূন্যময় জীবনে সে মানুষ এত দুঃখ কোথায় রাখে? জেনো পথহারা মানুষেরাই বেঁচে থাকার অনুপ্রেরনা বাঁচার লোভে থাকুক চিরকাল অপ্রাপ্তি-অসুখ-তৃষ্ণা। (নেলসন মেন্ডেলা ও জীবন দর্শনের প্রতি উৎসর্গ) ০৪/০৩/১৮ খ্রীঃ নোমান প্রধান 

আজও ২৫শে মার্চ রাত

Image
২৫শে মার্চ রাত এখন ঘড়িতে তিনটে আট- এমন সময় চলছিলো অপারেশন সার্চ লাইট ! তীব্র গুলি বর্ষণ আর বাঙালী হাহকারে কেঁপে উঠছিলো ঢাকা আর রক্তাক্ত হচ্ছিল রাজপথ ! ছেলে হারাচ্ছিলো পিতা,বোন তার ভাই! মা তার সন্তান আর জাতি তার ভবিষ্যৎ। আজ সাতচল্লিশ বছর পর , হ্যা! স্বাধীনতার সাত চল্লিশটা বছর পর কসম আমার খোদার ! আমি হাড়ে হাড়ে টের পাই অপূরণীয় সেই ক্ষতি। চারিদিকে তায় তো আজ এত নির্বিকার রাহাজানি। তোমরা জানো না শহীদেরা, মুজিবও মরেছে না-পাক হানাদারের হাতে না, স্বাধীন স্বদেশে ! সবার চক্ষে ঠুলি, কষ্ট দেই আজ বলি- সাত কোটি প্রাণ আজ আঠারো কোটি ছুঁই ছুঁই অথচ একটা মানুষের মেরুদণ্ড অবশিষ্ঠ নাই। দেশ প্রেম ? হাহাহা! মাফ করো অনিচ্ছায় হাসলাম এই শব্দ যুগল দু'চোখে কেবল বইয়ে পুস্তকে দেখলাম। এই কাল রাতে সবাই ঘুমালে কেবল আমি জাগবো ক্ষমা চেয়ে তোমাদের কাছে দু'কলম চিঠি লিখবো। ইতি, শহীদদের অযোগ্য এক উত্তরাধিকারী। নোমান প্রধান

অনুব্লগ

Image
আমার কান্নায়! তোমার কি'বা যায় আসে? তোমার কান্নায়? আমার পৃথিবী যায় ভেসে!                    *** জনসমুদ্রে নিঃসঙ্গতা! কতটা বিস্বাদ জানে অপ্রকাশিত কবিতা। মরুভূমির জলতৃষ্ণা! চেনে তপ্ত বালিতে জন্ম বেদুঈন সন্তানরা।          *** তোমরা যেমনই হও, আমি বাদবাকি আর সবার মতন। কাঙ্গালের মত করি যদি বুঝি পাবো খানিকটা যতন।           *** এই শহরে মজুরের দিন ভর খাটাখাটি, আর রাতে পাড় মাতালদের হাটাহাটি। আছে চুড়ির শব্দে নতুন বধূর খুনসুটি ঘুমাই কেমনে বল এত জান্তব খুঁটিনাটি।          *** শাহজাহান কোথায় আজ , আজও দাড়িয়ে তার তাজ ! এ দেহ পচে যায়, মাটি খায় ; ভবে রয়ে যায় শুধু কাজ ।        *** স্বপ্ন গুলো হারিয়েছি বড় শহরের রাজপথে, ফিরে পাওয়ার আশায় ফিরছি জন-স্রোতে ! নিসঙ্গ মুসাফির ভুলেছে নাম ; পথে চিহ্ন আঁকছে তার ঘাম ।      *** দেখিনি বিবৎস রূপ শয়তানের! দেখেছি, নোট চকচকে কাগজের। ছবি- সবুুুজ আহমেদ

বিশ্ব অধিবেশনে সিরিয়া!

Image
খোদা কোন সূর্যদয়ের পর শুনতে পাবো মধ্যপ্রাচ্যে ঘুম গিয়েছে সব খুনে আগ্নেয়াস্ত্র শিশুকাননে হানছেনা আঘাত অগ্নির শেল কানে আসবেনা আর্তনাদ হবে স্নিগ্ধ বিকেল কোথাও মুসলিম নামে রোহিঙ্গা অন্যত্র আমি বলি কেবল মরছে মানুষ সর্বত্র। পশ্চিম দেশে তৈয়ার মেশিনের চিৎকার ঢেকে দেয় মূহুর্তেই জান্তবদের হাহাকার। যুদ্ধের পর যুদ্ধ চলে নেই থামার লক্ষন ধরারে করছে যেন কোন রাক্ষসে ভক্ষন সাদা পতাকা তোলার কথা ভুলে সবাই স্বজাতিরে করছে কেবল অহংয়েই জবাই। বলি আসল খবিশ পশ্চিমাদের দুটো কথা জানোনা মন তাদের কেমন রূপের ধারা পয়সার বিনিময়েই দিয়ে অস্ত্র যারে-তার বিশ্ব-অধিবেশনে বলছে নেই মানবাধিকার। ছবি-ইন্টারনেট থেকে...

ভাঙা শরীরে আনকোরা মন

Image
অমূলক আজ আনকোরা শরীরের খোঁজ, ভাঙা মন জমে জমেই পাহাড় হচ্ছে রোজ সেখবর না নিয়ে কেবল দেহ হাতড়ে বেড়াও কামশেষ হতেই প্রেয়সীকে ব্যতিব্যস্ত তাড়াও মৃত শরীর তবুও তো লাগে শকুনের কাজে মর্গে কাটাঁছেঁড়া ডোমের চাকরি টিকে গেছে মহৎপ্রাণ কেহবা করে মরণোত্তর চক্ষু দান বাতিলের খাতায় প্রেমে যে সঁপে মনোপ্রাণ। সে জন সেই মন আর বাসতে পারেনা ভালো ডুবে আধারে দেখে যেনো সব নিকষ কালো প্রতারিত হওয়ার চেয়ে বরং প্রত্যাখ্যাত উত্তম ভাঙা শরীরের ভেতর খুঁজি আনকোরা মন।

কতটা লম্পট!

Image
রমণীদের ডাকে সাড়া দেই না পাছে জড়িয়ে পড়ি মিথ্যে সম্পর্কে যা কিনা কেবল শারীরিক ভাবেই নয়, প্রকাশ করে ফেলে আমার নগ্ন চেহারাখানি প্রবল চেষ্টায় যা ঢেকে রাখি আমি ভণ্ডামি আর ভদ্রতার মুখোশাড়ালে। সম্ভবত স্বীকার করিনা সমাজে কখনোই, কতটা লম্পট আমার কামরূপে আর সবার মতই ভিতরে ভিজে উঠে আমার জিভ! সবই তো থাকে লুকিয়ে আমার চামড়া আবৃত্ত শরীরে নোংরাপানি তোলে ঢেউ বিপরীতধর্মী লোভে অথচ সেই চেহারা অভিনয়ে কত প্রচেষ্টাতে লুকিয়ে রাখি চলতি সমাজে। আর লম্পট রূপ ঢেকে রেখে সহজেই মিশে যাই তোমাদের চুতিয়া নগরে। কে কেমন তার জুড়ি অভিনয়ে অন্তরে আমি কেমন কার সাহস যে খু্ঁজবে বলবে সহসাই গলা উচু করে যে আমি তাদেরই মত লুকিয়ে আছি ভিড়ে নিজের স্বরূপ রেখেছি ঢেকে। কারও নেই সেই দুঃসাহস নিজেকে নগ্ন করে।

আটই ফাল্গুন

Image
আটই ফাল্গুন, শুনি যেন বাংলার ভাষা বিপ্লবীদের গুনগুন যারা পেট্রোল নয় রক্ত ঢেলে জ্বালছে আগুন। চেয়ে দেখো নিশ্চুপ আজো জ্বলছে সে শিখা দেখো, মোদের রন্ধ্রে-স্কন্ধে-কন্ঠে আছে আকাঁ। হায় বাঙালী! কোথা হারালে মুক্তির সেই স্বাধ ফুলের মিছিলে কেন শুনি শহীদদের আর্তনাদ। ধরো ভিনদের বেশভূষা স্বদেশী লুঙ্গীতে লজ্জা চিত্তে হয়ে বাঙালি সাজিয়ো শহীদ মিনারের সজ্জা। জেগে উঠতে না যেনো হয়ে যায় খুব দেরী তোলো গান মেলে প্রাণ আজকে প্রভাতফেরী।

পুরুষের নারী

Image
নিরেট স্বার্থপর হয় আর.ডি বর্মনের রুবি রায় আর অঞ্জন দত্তের বেলা বোসেরা, কেবল চাহনিতেই নয় তাদের স্পর্শ, আলিঙ্গন কিংবা চুম্বনেও  থাকে তীব্রতর ইশারা। যোগ্যতার দলিল ছাড়া কোন নারীই নয় তোমার একান্ত অথচ পঁয়ত্রিশ লক্ষ বছরে তাদের তরে চেনা পৃথিবীর সব প্রান্ত! পুরুষের বাহুর পুরুত্বের কারণ কেবল পুরুষত্ব ভেবো না কম খাটেনি এদেহ সৃষ্টির কাল থেকে দিতে নারীকে নিরাপত্তা। অথচ একবিংশ শতাব্দীতে নরওয়ে থেকে এ্যলাস্কা পর্যন্ত কোন শর্বরী তা মানতেই চায় না।

কাঙাল

Image
সবাই কাঙাল ;   যদিও শ্বেত কুয়াশা মিশে অন্ধকার নিশীথে ;   তবুও প্রেম তার আদি রূপ প্রতীক্ষাতেই মোড়ানো   । সকল প্রার্থনা; আজো উর্ধগামী হয় প্রিয়মুখের সুখের তরে; তবুও দিন শেষে মুখগুলো থাকে অভিমানে জড়ানো। সবই অনুভূতি; শুদ্ধো হৃদয় আর মস্তিক নিয়মিত যুদ্ধরত; তবুও বেখেয়ালি যৌবন স্বীকৃত ভুল মন্ত্রে তন্দ্রালু । দ্বিধায় আক্রান্ত দ্বীনহীন প্রাচীন আমার মতই ত্রিধায় কাতর তৃষ্ণার্ত ক্লিষ্ট আমার নব্য ছবি।

আইনের ধর্ষণ

Image
জীবনের দুর্গম পথে প্রেমে সংলাপ? নিতান্ত অপ্রয়োজনীয়, বড়ই অর্বাচীন তারচেয়ে চলো নব বিপ্লবের কথা বলি সুখ না খুজে মুখে মুখে বিলায়ে দি হাসি। দু'বেলা দু'মুঠো অন্নের জন্যে বিলাপ? শুনতে পাবে না যদিও মাঠে ভরে উঠেছে আজ, ফসলের বদলে কারখানায় সয়লাব গেরস্ত ছেড়ে শিক্ষিত করে চাকরিতে লাভ। কি শুনতে চায় তোমার জোড়া কান? জানো আজ পত্রিকা খুলে কি পড়লাম? ধর্ষিত হয়েছে কিশোরী মেয়ে মজদুরের আসামী জামিনে মুক্ত, আইন এদেশের।

নারী

Image
আমি স্রষ্টার হাতে লিখা কবিতা, দুঃখ দিবে আমায়? কে তুমি! কতই বা তোমার স্পর্ধা  মহাবিশ্ব তাঁহার তুলিতে আঁকা। তুমি কি সেই? যে করেছে যাপিত জীবনরে বাঁকা? নওতো তুমিই সেই বৃন্দাবনের বৃন্দাবাসীনী? শ্যামের হাতের খুনে সেই বাঁশরী যার তরে রাগে রাগে হতো উন্মাদ! তবে কি রাধা গো তুমি? সখীগনের স্বপন যে করেছিলো বরবাদ।  ওঁ চিনেছি! না না তুমি নওকো অবলা হলে তবে মাতৃত্বের ভার কভু নিতে না। তুমি জন্মের কারণ করো হাজার রূপ ধারন হয়েছো পাপ কিংবা পুণ্যের ফারাক। নারী তুমি; কাঙ্ক্ষিত এক অবোধ্য সামাজিক বারণ।

মানুষ নাকি মানব

Image
বসন্ত বিদায়ের পর, সূর্যের রাগে এক আকাশ গলা দুপুর বেচারা এক দিন মজুর চা-দোকানে ঢুকলো হয়ত তৃষ্ণায় কাতর তায় ছুটে গিয়ে করে কলস থেকে পানি পান দেখেনি বেচারা সেখানেই ঠায় ছিলো এক ...

নির্বোধ

Image
আমি যুদ্ধে মেতেছি চিরকাল কখনো নেশায় কখনো পেশায় আবার কখনোবা সত্যিকারের প্রয়োজন। আটপৌরে জীবনের বৃত্ত বন্ধনী ছিন্ন করতে রাইফেল আর গ্রেনেড মুক্ত যে অহিংস সংগ্রাম করি আয়োজন_ নিজের তাগিদে অসুখ দূরীকরণের নিয়ত যে প্রচেষ্টা! সে কি যুদ্ধের চেয়ে কম? বুকে তপ্ত সীসার ছিদ্র নিয়ে রক্ত নদী বয়িয়ে মানুষে লাশ নিশ্চই নেই আছে কেবল লালিতপালিত গোবেচারা অজস্র স্বপ্নের লাশ, চেনা স্বপ্নের শবদেহ। পরিবারের সামাজিক মেকি মর্যাদাবোধ যৌবন বলি দেয়া যুদ্ধাদের ধরে বেধে দেয় পরাজিতের তকমা! টাইটেল হয় নির্বোধ নোমান প্রধান, ২০শে পৌষ ১৪২৪