Posts

Showing posts from January, 2018

আইনের ধর্ষণ

Image
জীবনের দুর্গম পথে প্রেমে সংলাপ? নিতান্ত অপ্রয়োজনীয়, বড়ই অর্বাচীন তারচেয়ে চলো নব বিপ্লবের কথা বলি সুখ না খুজে মুখে মুখে বিলায়ে দি হাসি। দু'বেলা দু'মুঠো অন্নের জন্যে বিলাপ? শুনতে পাবে না যদিও মাঠে ভরে উঠেছে আজ, ফসলের বদলে কারখানায় সয়লাব গেরস্ত ছেড়ে শিক্ষিত করে চাকরিতে লাভ। কি শুনতে চায় তোমার জোড়া কান? জানো আজ পত্রিকা খুলে কি পড়লাম? ধর্ষিত হয়েছে কিশোরী মেয়ে মজদুরের আসামী জামিনে মুক্ত, আইন এদেশের।

নারী

Image
আমি স্রষ্টার হাতে লিখা কবিতা, দুঃখ দিবে আমায়? কে তুমি! কতই বা তোমার স্পর্ধা  মহাবিশ্ব তাঁহার তুলিতে আঁকা। তুমি কি সেই? যে করেছে যাপিত জীবনরে বাঁকা? নওতো তুমিই সেই বৃন্দাবনের বৃন্দাবাসীনী? শ্যামের হাতের খুনে সেই বাঁশরী যার তরে রাগে রাগে হতো উন্মাদ! তবে কি রাধা গো তুমি? সখীগনের স্বপন যে করেছিলো বরবাদ।  ওঁ চিনেছি! না না তুমি নওকো অবলা হলে তবে মাতৃত্বের ভার কভু নিতে না। তুমি জন্মের কারণ করো হাজার রূপ ধারন হয়েছো পাপ কিংবা পুণ্যের ফারাক। নারী তুমি; কাঙ্ক্ষিত এক অবোধ্য সামাজিক বারণ।

মানুষ নাকি মানব

Image
বসন্ত বিদায়ের পর, সূর্যের রাগে এক আকাশ গলা দুপুর বেচারা এক দিন মজুর চা-দোকানে ঢুকলো হয়ত তৃষ্ণায় কাতর তায় ছুটে গিয়ে করে কলস থেকে পানি পান দেখেনি বেচারা সেখানেই ঠায় ছিলো এক মুরব্বি বুজুর্গান। যদিও না বুঝেই ভুল তবু মজুররে দিতে হলো বেখেয়ালের মাশুল দু-একফোঁটা পানির ছিটা কেন লাগবে অন্যের গায়? শুধায় মুরব্বি আর কি নাই পানি এই দুনিয়ায়? ছুটে আসে দোকানি আসে রাস্তার সব লোক মুরব্বির চিৎকারে কাঁপিয়া উঠে দোলক! সবাই বুঝিয়ে শান্ত করে তারে। শ্বাস লয়ে সে ছেড়ে দিয়ে বেচারারে, বলে একটা প্রশ্ন বলে যাই তার উত্তর শত কোটি টাকায় পাবি নারে! জানিনা প্রশ্নখানা দামি নাকি আজব_ শুধায়ে চলে গেলো মুরব্বি সাহেব এই বেখেয়াল সে কি? মানুষ নাকি মানব!

নির্বোধ

Image
আমি যুদ্ধে মেতেছি চিরকাল কখনো নেশায় কখনো পেশায় আবার কখনোবা সত্যিকারের প্রয়োজন। আটপৌরে জীবনের বৃত্ত বন্ধনী ছিন্ন করতে রাইফেল আর গ্রেনেড মুক্ত যে অহিংস সংগ্রাম করি আয়োজন_ নিজের তাগিদে অসুখ দূরীকরণের নিয়ত যে প্রচেষ্টা! সে কি যুদ্ধের চেয়ে কম? বুকে তপ্ত সীসার ছিদ্র নিয়ে রক্ত নদী বয়িয়ে মানুষে লাশ নিশ্চই নেই আছে কেবল লালিতপালিত গোবেচারা অজস্র স্বপ্নের লাশ, চেনা স্বপ্নের শবদেহ। পরিবারের সামাজিক মেকি মর্যাদাবোধ যৌবন বলি দেয়া যুদ্ধাদের ধরে বেধে দেয় পরাজিতের তকমা! টাইটেল হয় নির্বোধ নোমান প্রধান, ২০শে পৌষ ১৪২৪