Posts

Showing posts from 2017

বিটপী

Image
পথ হেটে যাওয়া ক্লান্ত পথিক হয়ত বড় একটা নেই সবাই হরেক রকম শকটে চড়ে , নেই আর মানুষের দল বেধে এগুনো কাফেলা সেই হজ্জের পথে যাওয়া যায় উড়ে । গায়ের হাট বসতো প্রাচীন আর বিশাল বটের মূলে সেই বাজার গেছে দালানে সেটে , নগরায়নের স্রোতে মজে কেমন যাচ্ছি সেসব ভুলে আধুনিকতা ধরেছে দারুণ এটে । তায় বলে কি প্রেমিকাদের মত করবি ঋণের অস্বীকার , কি বুঝে হায় চেঙ্গিসের মতো কাটিস বিটপী নির্বিকার !  দমে দমে তোর প্রয়োজনে বৃক্ষ নিজেরে বিলিয়ে দেয় পথিক - কাফেলারে দিত ছায়া , মিটিয়ে ক্ষুধা দিয়ে আবাস - বস্ত্র - ঔষদের না দাম নেয় তবে কেন বিটপী পাবেনা মায়া ।  

অজাত

Image
পশ্চিমা কাঁটাচামচের সমান সম্মান পায় না আফ্রিকার জান্তবেরা ; চৈনিক আফিমের চেয়ে সস্তায় জীবন দেয় দক্ষিণ - এশিয় সন্তানেরা । নদী রক্ত দিয়ে রাঙিয়ে তবে তাদের উল্লাস চির দীর্ঘজীবী হোক ; আরবের প্রাসাদ হবে আরো চকচকে যেনো ক্ষুধার্ত শিশুর চোখ   । স্পেনিশের লা - তোমাতিনায় পদপিষ্ট খাদ্যই সভ্যতার লজ্জিত মুখ , পুঁজিবাদের প্রাচুর্য্যে সোমালিয়ার দুঃসংবাদ শুধুই পৈশাচিক সুখ ।

না-মানুষ

Image
আমি প্রচন্ড ক্লান্ত হয়ে এখন হেঁটে বেড়াচ্ছি, স্ব-চোকাঠ মাড়িয়ে খানিক অগ্রসর হয়েছি চতুর্দিকে! ভুল হবেনা যদিবা বলি দশদিকে। চেনা শহর জানা মানুষের সামাজিক সংসার, যেন নড়তে ভুলে গিয়ে করছে সূর্যের আচার না-মানুষ! বৃক্ষের মত মস্তিকহীন বাঁচা শিখে তায় ফাঁকি দিতে বাধ্য হয়ে ত্যাগ করেছি ঘর মেনে নিয়েছি অযাচিত জীবনে বৈশাখী ঝড়; পানিতে ডুবে নিঃশ্বাস টানাই আজ খুব শ্রেয়! এ মানচিত্রে মানুষরূপী সব, নাই জীবন্ত কেহ হাপিঁয়ে উঠেছি বলেই ছুটে চলেছি সজোরে, ভাঙা স্বপ্ন টুকরোর খুঁচা লাগছে খুব পাঁজরে পরাজিত হতে হবে মনে বেধেছি দৃঢ় সংকল্প। এ ভবে যখন শতকোটি মুখ ক্ষুধায় শুকিয়ে, আরেক মানুষ কেমনে রোলস রয়েলসে চড়ে অন্য কোন গ্রহে গিয়ে বলবো আজব এ গল্প। জানতে হবে আর কোন প্রাণী ভরপেটে খায় শত প্রাচুর্য ধন ঐশ্বর্যে থেকেও দু'পয়সা চায়; আছে কি এমন বাঁচা কেবলই মৃত্যর কারণে! দেহমন সব সপেঁ দিবে ছাপা নোটের তাড়নে চাঁদের বুড়ি হাসে মুখ টিপে শুনে মনুষ্য কান্ড শুনে নাই সে হাজার বছরে আছে এমন ভন্ড হায় তবু কভু মোর হৃদ না-মানুষের গান গায়, কেমনে জানিনা ওদের ঔরসে মানুষ জন্মায় কারো চোখ ফুটেই গর্জন, পিতার বিরোধীতা। সভ্য সম

ঘোর

Image
            শুদ্ধতম প্রেমের আদিম রাগ ধরতে জানি না তাই ভালোটারে ভালোমত ভালোবাসা হল না । রঙ বদলায় বেলাভূমি পাল্টায় হঠাৎ প্রেক্ষাপট প্রেমছায়া নৃত্য করে আসে ঘোরলাগা দৃশ্যপট। কখনো যে বিসুবিয়াস আবার শীতল আইসবার্গ প্রভাতে তুমি বৃদ্ধাশ্রম হলে বিকেলেই শিশুপার্ক। তারায় তারায় আঁকছি কেবল অস্তিত্বহীন ছবি গল্পকথা জমিয়ে  কথক হয়েছি হইনি আমি কবি । উপমা সব গুলিয়ে যায় প্রেমে ডুবলে ঝটপট হাসছে কাগজ মাখছে কালি ঘোরলাগা দৃশ্যপট।

ফরিয়াদ

Image
বিদায়ের ঘন্টা বাজবে জমাট বাধা নিত্য রাতের গেয়ে উঠবে মুয়াজ্জিন গুনগান তাহার আপন রবের । আযানের মাধুর্যে জেগে উঠবে মুমিনেড় ঘুমন্ত প্রাণ বন্দেগী মশগুল জাগ্রত আশেক পেতে রেখেছে কান। ঘুমায় না যে তারা জেগে রয় যেন অতন্ত্র প্রহরী হবেনা শান্ত রূহ না শুনিলে সুধা আযানের লহরী। কি আদিম সুর কত সুমধুর এক স্রষ্টার গুনগান জেগে উঠে যে ধরণী ছিলো নিশি রাত্তিরে শুনশান। অধম পাপী মাওলারে বলি দিয়োগো আরশের ছায়া রোজ হাশরে দিও গো ক্ষমা পাপ করায় ভবের মায়া। তোমার কৃপায় পেয়েছি বান্ধব বেধেছি আপন ঘর ক্ষন পাপস্থানের মায়া আজ চিরস্থায়ীরে করছে পর।

আদিম ক্রন্দন

Image
মুমিন তুমি সেজদা করো আল্লাহ'র গায়েবী পদতলে! দেখো না তুমি তারঁ শ্রেষ্ট সৃষ্টি মরছে কেমন অকাতরে। হায় নজরুল! কোথায় মহসীন! নাই মজলুমের ভাসানী রয় নি কেউ নিষ্ঠুর মর্তে যে শুনবে ক্ষুধার্তের ক্রন্দন ধ্বনি। স্বজ্ঞান হয়ে স্বজাতির প্রতি মতি হয় কেমনে এতই বিরূপ, যারে পেতে বয় রক্ত সাগর জেনো মানুষেই তার স্বরূপ। খেয়েছি পরেছি বেচেঁছি-আর কি চাই! আহারে কত সুখ নওতো অন্ধ তবে দেখনি কেনো শত ক্ষুধার্ত শুকনো মুখ! লিখে রাখছে মহাকাল! পই পই করে জমিয়েছ কত ঋণ না শুধিলে পাবে কেমনে আরশ ছায়া মহা বিচারের দিন।

৮ লাইন প্রেম

Image
তবে জড়িয়ে যাক তোমার উষ্ণ চপল হাসি প্রেম নিরাসক্ত ক্লান্তিতে, জানো কী তোমায় আমি কিসে চিনিবো যদি দেখা হয় পথেতে। রঙ দেখে নয় মেঘ বরণ কেশ দেখে নয় চিনি গভীর চোখে, মন্দ ভেবে চোখ রাঙিয়ে ভয় দিওনা আমায় তোমার কপট রাগে।

উনুন

অলস দিনটায় আজ কত শ্রাবনের উপহার স্মৃতির পাহাড় যেনো সামনে দাঁড়ায় তাহার! আখড়ায় বেজে ওঠে ঢোল-বাশিঁ-একতারা ষোড়শীর মনে রঙ ঢেলে করল মাতোয়ারা। কবিয়াল তার কাগজে তোলে শব্দ ঝংকার আসমান কাঁপায় মাতাল মেঘেদের হুংকার। মেঠো পথে খুব সাবধানে পা ফেলছে বুড়ি অচিন গায়ে বাজে রিনঝিন নব বধূর চুড়ি। পাঠশালায় আজি খুব একা মাস্টার মশায় ছেলের দল পালাচ্ছে কাক ভেজার নেশায়। শত অনুভূতি নগ্ন চোখে লাগে নিষ্প্রয়োজন দিন-মজুরের উনুনে নেই ভাতের আয়োজন।