না-মানুষ

আমি প্রচন্ড ক্লান্ত হয়ে এখন হেঁটে বেড়াচ্ছি,
স্ব-চোকাঠ মাড়িয়ে খানিক অগ্রসর হয়েছি
চতুর্দিকে! ভুল হবেনা যদিবা বলি দশদিকে।

চেনা শহর জানা মানুষের সামাজিক সংসার,
যেন নড়তে ভুলে গিয়ে করছে সূর্যের আচার
না-মানুষ! বৃক্ষের মত মস্তিকহীন বাঁচা শিখে

তায় ফাঁকি দিতে বাধ্য হয়ে ত্যাগ করেছি ঘর
মেনে নিয়েছি অযাচিত জীবনে বৈশাখী ঝড়;
পানিতে ডুবে নিঃশ্বাস টানাই আজ খুব শ্রেয়!
এ মানচিত্রে মানুষরূপী সব, নাই জীবন্ত কেহ

হাপিঁয়ে উঠেছি বলেই ছুটে চলেছি সজোরে,
ভাঙা স্বপ্ন টুকরোর খুঁচা লাগছে খুব পাঁজরে
পরাজিত হতে হবে মনে বেধেছি দৃঢ় সংকল্প।

এ ভবে যখন শতকোটি মুখ ক্ষুধায় শুকিয়ে,
আরেক মানুষ কেমনে রোলস রয়েলসে চড়ে
অন্য কোন গ্রহে গিয়ে বলবো আজব এ গল্প।

জানতে হবে আর কোন প্রাণী ভরপেটে খায়
শত প্রাচুর্য ধন ঐশ্বর্যে থেকেও দু'পয়সা চায়;
আছে কি এমন বাঁচা কেবলই মৃত্যর কারণে!
দেহমন সব সপেঁ দিবে ছাপা নোটের তাড়নে

চাঁদের বুড়ি হাসে মুখ টিপে শুনে মনুষ্য কান্ড
শুনে নাই সে হাজার বছরে আছে এমন ভন্ড

হায় তবু কভু মোর হৃদ না-মানুষের গান গায়,
কেমনে জানিনা ওদের ঔরসে মানুষ জন্মায়
কারো চোখ ফুটেই গর্জন, পিতার বিরোধীতা।

সভ্য সমাজে চিরকালই রয় ধন্যাট্যের গৌরব,
সেই ঘরেতে জন্মে করে কেউ মানুষের বিপ্লব
যা কখনো কেনা যায় নি করে নাই সমঝোতা।

Comments

Popular posts from this blog

এত দুঃখ কোথায় রাখে?

আজও ২৫শে মার্চ রাত

প্রিয় কষ্ট